পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সুন্নী সম্প্রদায়ের আয়োজনে রংপুর নগরীতে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। ১০ই মুহাররমকে কেন্দ্র করে তাজিয়া মিছিল, মিলাদ মাহফিল ও ধর্মীয় আলোচনাসভা ঘিরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা এবং ধর্মীয় ব্যানার-পতাকায় সজ্জিতকরণ কার্যক্রম।
সুন্নী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছে, আশুরা ইসলামের ইতিহাসে এক গভীর বেদনাময় দিন হলেও, এটি ত্যাগ, ধৈর্য এবং সত্য প্রতিষ্ঠার অনন্য প্রতীক। তারা রংপুরবাসীকে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের মধ্যে একজন বলেন, “আশুরার এই দিনে আমরা নবী-পরিবারের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি, আর এই স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই আমাদের এ আয়োজন।”
আরেকজন বলেন, “ধর্মীয় আবেগকে সম্মান জানিয়ে আমরা চাই সবার অংশগ্রহণ হোক শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ।”
এদিকে, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য আশুরা উপলক্ষে নগরজুড়ে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে মিছিল ও জনসমাগম ঘিরে সম্ভাব্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মজিদ আলী বিপিএম বলেন, “আশুরা উপলক্ষে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থাকবে নজরদারি, সিসি ক্যামেরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন।”
ইতোমধ্যে স্টেশন কলোনী, লালবাগ, জুম্মাপাড়া, তাজহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া মিছিলের রুট ধরে করা হয়েছে বিশেষ সাজসজ্জা। আয়োজনে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাসেবকরাও রয়েছে প্রস্তুত।
আশুরার দিনটি রংপুরে যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, সেই প্রত্যাশা জানিয়েছে প্রশাসন ও ধর্মীয় সংগঠনসমূহ।