রংপুর প্রতিনিধি:
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের সেই ঐতিহাসিক এবং রক্তঝরা গণআন্দোলন এক দানবীয় শাসকের পতনের সূচনা করেছে। ১৬ বছর ধরে একচক্ষু বিশিষ্ট দানবের মতো দেশটাকে শোষণ করেছে যে স্বৈরশাসক, সেই কড়াল গ্রাস থেকে জনগণ এবার রুখে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক দল (ড্যাব)-এর আয়োজনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে এক রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ও বিষাক্ত শাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী কোনো মানুষই রেহাই পায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের ব্যারেলের সামনে বুক চেপে দাঁড়িয়ে যে তরুণ শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তা শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই। আমরা তার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাই। তার আত্মাহুতিই এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা।”
তিনি আরও বলেন, “শাসকগোষ্ঠী যে দানবীয় শক্তিতে দেশ চালাচ্ছে, তাতে আজ জনগণের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এই রক্তদান কর্মসূচি শুধু প্রতীকী নয়—এটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার শপথও।”
অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো আয়োজন পরিচালনায় সক্রিয় ছিলেন ড্যাব রংপুর শাখার চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবীরা রক্তদান করেন এবং নতুনদের ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ২০০ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে এবং ৫০ ব্যাগ রক্ত সংগৃহীত হয়েছে যা জরুরি রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপি প্রতি বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে ‘গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের মাস’ হিসেবে পালন করে থাকে। গত বছর দলটির ডাকে দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠলেও সরকার কঠোর অবস্থান নেয়। এ সময় বহু নেতাকর্মী নিহত, আহত ও গ্রেফতার হন।