বাগদা ফার্মের সাঁওতাল বাঙালিদের সম্পত্তি ফেরত দিন
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জন্য অধিগ্রহণকৃত সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮শ’
একর পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত দিয়ে তাদের পুনর্বাসন, ২০১৬ সালের ৬
নভেম্বর আদিবাসী পল্লীতে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল হত্যা, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও
নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তিসহ ৭ দফা দাবিতে আদিবাসী-
বাঙালিদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও ৩ সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ
হত্যা মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। তারা আরও বলেন, রংপুর চিনিকল
কর্তৃপক্ষ সাহেবগঞ্জ ফার্মের জন্য সাঁওতাল ও বাঙালিদের কাছ থেকে শর্তের ভিত্তিতে
১৮শ’ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছিল। এখন সে শর্তের আর বাস্তবায়ন নেই। মিল
ঠিকভাবে চলছে না, আখ চাষ বাদ দিয়ে এই জমিতে অন্য ফসল আবাদ এবং স্থানীয় দুর্বৃত্তদের কাছে জমি
লিজ দেয়ায় অশুভ চক্রান্তের কারণে মিল কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই
শর্ত ভঙ্গ করেছেন। এখন ওই চুক্তির শর্তের ভিত্তিতেই বাগদা ফার্ম এলাকার জমির মালিক আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিরা।
বক্তারা বলেন,অবিলন্বে এই জমি আদিবাসী
সাঁওতাল ও বাঙালিদের ফেরত দিতে হবে। তারা সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডে গোবিন্দগঞ্জের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ,
সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিল
আহম্মেদ বুলবুলসহ সব আসামিকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির
প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, সিপিবির সাবেক জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল,
আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল
ইসলাম বাবু, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী ইউনিয়ন নেতা বার্নাবাস টুডু,
মানবাধিকার কর্মী আবদুল খালেক, আহাদুজ্জামান রিমু, আদিবাসী নেত্রী
প্রিসিলা মুর্মু। তাই এই ফার্মের সাঁওতাল বাঙালিদের সম্পত্তি ফেরত দিন