৫ আগস্ট, ২০২৪—একটি তারিখ যা ইতিহাসে লেখা থাকবে জনগণের প্রতিরোধ ও সংগ্রামের প্রতীক হয়ে। সেই দিনে পতন ঘটে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা এক সৈরাচার সরকারের। কিন্তু আজ, প্রায় আট মাস পরেও, শাসনের ছায়া কি সত্যিই বিদায় নিয়েছে?
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিশু পার্কে গিয়েই মনে হয়, সময় থমকে আছে। পার্কের দেয়ালে এখনও দৃশ্যমান পুরনো শ্লোগান, কিছু অলিগলিতে বিলি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের পক্ষে লেখা লিফলেট, এবং মুখচেনা কিছু 'উন্নয়ন-সুবিধাভোগী' ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তাদের পুরোনো নেটওয়ার্ককে সচল রাখার প্রয়াসে।
এক স্থানীয় যুবক বলেন, "ওদের পতন তো শুধু টিভির পর্দায় হয়েছে, বাস্তবে তো এখানেই আছে। থানায় গেলে বোঝা যায় কারা চালাচ্ছে সবকিছু।"
এই ‘পতনের পরও টিকে থাকা’ বাস্তবতাই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়—শুধু সরকার বদল যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন কাঠামোগত পরিবর্তন। যারা অতীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের ছায়ায় নিজেদের শেকড় গেড়েছিল, তারা আজও সেসব শিকড় ধরে রাখতে চাইছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সরকার যদি সত্যিই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতিতে আন্তরিক হয়, তবে তাদের এখনই মাঠপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। নইলে ইতিহাস শুধু পুনরাবৃত্তি হবে, পরিবর্তন নয়।
প্রতিবেদক: জয়নাল আবেদীন
স্থান: কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম