রংপুরে বাসদ(মার্কসবাদী)'র বিক্ষোভ সমাবেশ
১২ মে ২০২৫, রাত ৮:৩৬ সময়
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শাস্তি কার্যকর,আহতদের উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনের দাবিতে রংপুরে বাসদ(মার্কসবাদী)'র বিক্ষোভ সমাবেশ।
১২ এপ্রিল ২০২৫ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শাস্তি কার্যকর,আহতদের উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের দাবিতে রংপুরে বাসদ(মার্কসবাদী)'র বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।পার্টির জেলা আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য বাখেন সদস্যসচিব কমরেড আহসানুল আরেফিন তিতু, সদস্য সুরেশ বাসফোর প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের পার্টি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সর্বশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিটি বক্তব্যে, সকল সর্বদলীয় বৈঠকে, অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে প্রকাশিত সকল লিফলেটে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে আসছে।
ইতিহাসের নজিরগুলো থেকে আমরা জানি, গণহত্যার বিচার না হওয়ার প্রভাব সমাজজীবনে কত গভীর হয়! ফলে আমরা চব্বিশের হত্যাকাণ্ডের বিচার, অসংখ্য আহতদের চিকিৎসাসহ পূনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবি করে আসছি।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এবং তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং এই অভ্যুত্থানকে তারা নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ভারতে বসেই শেখ হাসিনা অনলাইনে বক্তব্য দিচ্ছেন, হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে তাদের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বিচার সম্পন্ন করে তাদের শাস্তি কার্যকর করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে একাত্তরের গণহত্যাকারীদের নাম পরিকল্পিতভাবে সামনে আনা হচ্ছে। একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমা করেনি। আওয়ামী লীগের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার কোন নৈতিক অধিকার এদের নেই৷ ফলে যেভাবে গোলাম আযম, নিজামীকে সামনে আনা হচ্ছে, তা প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের বিচারের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক আখ্যান,তাকেই বরং প্রতিষ্ঠিত করবে। ফলে এ বিষয়ে আমরা সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানাই।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিচারের বিষয়ে যে সংশয় জনমনে আছে, সেটা অমূলক নয়। সে নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। নীতিনির্ধারণের সাথে যুক্ত নেতাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া, ঢালাওভাবে দেয়া হত্যা মামলা, দুর্বল মামলা, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা - সব মিলিয়ে বিচারের ব্যাপারে মানুষের আস্থা কমেছে। সরকারের উচিত বাগাড়ম্বর না করে যে সকল অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা খতিয়ে দেখা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।