রংপুর , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রংপুরে র‍্যাব-১৩ এর অভিযানে ১৫৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রংপুরে ৬ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিত,দাবি আদায়ে প্রশাসনের ন্যায্য হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা অকাল মৃত্যু ঠেকাতে আইনের সংস্কার জরুরি রংপুরে ওয়ার্ড যুবদলের আঞ্চলিক কমিটির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত আশুলিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে অপহরণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার, কিশোরী উদ্ধার বিরামপুরে র‍্যাবের অভিযানে ২০১ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার গোবিন্দগঞ্জে র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার রংপুরে র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে ৫৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রংপুরে ছাত্রীনিবাস থেকে বেরোবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ সম্মেলনে ‘সংঘবদ্ধ চক্রান্তে’ গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানালেন বেরোবি শিক্ষক

  • Khalid Ibn Ahasan Aronno
  • প্রকাশিত : ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৯৫ বার পাঠ করা হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে 'সংঘবদ্ধ চক্রান্তে' গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানালেন বেরোবি শিক্ষক

এক ‘সংঘবদ্ধ চক্রান্তে’ মিথ্যা ও ভুয়া মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে জানালেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক। রবিবার হত্যা মামলা থেকে জামিন পাবার পর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মাহমুদ ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মাহমুদুল হক জানান, পূর্বেও এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। অটোচালক মানিক হত্যা মামলায় তাকে ১৯ নম্বর আসামী করা হয়। এই মিথ্যা মামলাগুলির পিছনে একটি কারণ তিনি বের করতে পেরেছেন। তিনি বলেন,”দীর্ঘ সময় ধরে আমি অধিকার নিয়ে কাজ করছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। এর ফলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারী আমার পেছনে তৈরি হয়ে গেছে এবং তারাই এই মামলাগুলো করাচ্ছে।”
মাহমুদুল হক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ৭০৯ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকাকে অবমাননার ঘটনায় তিনি মামলা করেন। তিনি বলেন, আমি যখনই অধিকার নিয়ে কথা বলি, একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। নানাভাবে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার চেষ্টা করে, আমার পরিবারকে হেয় করার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নিজ বাসভবনে সাদা পোশাকে হাজীরহাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ কাউকে জানানোর সুযোগ না দিয়েই তাকে দ্রুত পুলিশ ভ্যানে উঠানো হয়। ভ্যানে উঠে তিনি গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করে কোনো উত্তর পাননি। তিনি যখন জানতে চান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কী না তখনও কোনো সদুত্তর আসে না। এরপর তাকে সরাসরি হাজীরহাট থানার বদলে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয় এবং দ্রুত আদালতে উঠিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ পাননি বলে তিনি দাবী করেন।
মাহমুদুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা দুটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। মামলা দুটি থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি ।এছাড়াও হাজীরহাট থানার সাবেক ওসি আবদুল আল মামুন শাহকে বরখাস্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সাথে এ ঘটনার তদন্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তারের পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শনাক্তকরণ এবং শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান মাহমুদুল হক। তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা না হলে নিজেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।

ট্যাগ :
About Author Information

জনপ্রিয়

রংপুরে র‍্যাব-১৩ এর অভিযানে ১৫৪ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সংবাদ সম্মেলনে ‘সংঘবদ্ধ চক্রান্তে’ গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানালেন বেরোবি শিক্ষক

প্রকাশিত : ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

এক ‘সংঘবদ্ধ চক্রান্তে’ মিথ্যা ও ভুয়া মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে জানালেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক। রবিবার হত্যা মামলা থেকে জামিন পাবার পর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মাহমুদ ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মাহমুদুল হক জানান, পূর্বেও এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। অটোচালক মানিক হত্যা মামলায় তাকে ১৯ নম্বর আসামী করা হয়। এই মিথ্যা মামলাগুলির পিছনে একটি কারণ তিনি বের করতে পেরেছেন। তিনি বলেন,”দীর্ঘ সময় ধরে আমি অধিকার নিয়ে কাজ করছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। এর ফলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারী আমার পেছনে তৈরি হয়ে গেছে এবং তারাই এই মামলাগুলো করাচ্ছে।”
মাহমুদুল হক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ৭০৯ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকাকে অবমাননার ঘটনায় তিনি মামলা করেন। তিনি বলেন, আমি যখনই অধিকার নিয়ে কথা বলি, একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। নানাভাবে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার চেষ্টা করে, আমার পরিবারকে হেয় করার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নিজ বাসভবনে সাদা পোশাকে হাজীরহাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ কাউকে জানানোর সুযোগ না দিয়েই তাকে দ্রুত পুলিশ ভ্যানে উঠানো হয়। ভ্যানে উঠে তিনি গ্রেফতারের কারণ জিজ্ঞেস করে কোনো উত্তর পাননি। তিনি যখন জানতে চান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কী না তখনও কোনো সদুত্তর আসে না। এরপর তাকে সরাসরি হাজীরহাট থানার বদলে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয় এবং দ্রুত আদালতে উঠিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ পাননি বলে তিনি দাবী করেন।
মাহমুদুল হক বলেন, তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা দুটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। মামলা দুটি থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি ।এছাড়াও হাজীরহাট থানার সাবেক ওসি আবদুল আল মামুন শাহকে বরখাস্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সাথে এ ঘটনার তদন্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তারের পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শনাক্তকরণ এবং শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান মাহমুদুল হক। তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা না হলে নিজেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।