রংপুরে মোটর শ্রমিকদের ৬ দফা দাবির প্রেক্ষিতে ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রংপুর সাহিত্য পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাধারন শ্রমিকের পক্ষে নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম রফিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নজরুল ইসলাম যাদু, সাইদুল ইসলাম, শামী হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন সোনা প্রমুখ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মালিকপক্ষের সঙ্গে চলমান আলোচনার অগ্রগতি এবং রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালের অনুরোধে সাময়িকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে, ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতারা।
শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি হচ্ছে: বর্তমান অবৈধ কমিটি বাতিল করে তাদের কার্যক্রম বাতিল, এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি সাধারন সভা,অবাধ সুস্থ নির্বাচন,অবৈধ চাদাবাজি বন্ধ,অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাসহ শ্রমিক ইউনিয়নে দলীয় প্রভাব বন্ধ করাসহ এই ছয় দফা দাবির আল্টিমেটাম দেন সাধারন শ্রমিকরা।
রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন,
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে চাই। কিন্তু সময়মতো দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আমরা বাধ্য হবো আবারও রাজপথে নামতে।”
সাইদুল ইসলাম বলেন,
“সাধারণ শ্রমিকদের জীবনযাত্রা দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ন্যায্য মজুরি ও স্থায়ী চাকরি নিশ্চিত না হলে শ্রমিকদের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়।”
সোনা মিয়া বলেন,”আমরা চাই প্রশাসন ও মালিকপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিক। আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও শ্রমিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।”
নেতৃবৃন্দ জানান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সাধারণ শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রয়োজনে তারা আবার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে, আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণাকে স্বস্তির বিষয় হিসেবে দেখছেন স্থানীয় পরিবহন মালিক ও যাত্রীরা। তবে দাবি বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে রংপুরের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের গতি।
উল্লেখ্য গত ৮ তারিখের ছয় দফা দাবির ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছিল বলেও উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।