তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৫
✍ প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও, আগামী কয়েক দিন কিছু নদ-নদীর পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে
তিস্তা নদীর পানি সমতল ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। এই এলাকায় আগামী তিন দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবাহ বাড়তে পারে
সুরমা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৬ থেকে ৮ জুলাই সময়কালে দুই নদীর পানির স্তর আরও বাড়তে পারে এবং সিলেট জেলার কিছু অংশে সতর্কসীমা ছুঁয়ে যেতে পারে। বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সময়কালে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মার অবস্থা
ব্রহ্মপুত্র নদে পানি স্থিতিশীল, তবে যমুনায় পানি হ্রাস পাচ্ছে—যা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকবে। এরপর ৭ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে পানি বাড়তে পারে। গঙ্গা নদীতে পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও আগামী চার দিনে তা বাড়বে। পদ্মা নদীর পানি আগামী দুই দিন হ্রাস পাবে ও পরবর্তী তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
চট্টগ্রামের নদ-নদী এবং উপকূলীয় এলাকা
সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, হালদা নদীতে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী তিন দিনে এসব নদীতে পানি বাড়তে পারে তবে তা বিপদসীমার নিচে থাকবে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার অব্যাহত থাকবে। এ অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সতর্কবার্তা
যদিও এখনো কোনো নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।