রংপুরের মাহিগঞ্জ কল্যানী ইউনিয়নের বিহারী মৌজা এলাকা খড়খড়িরহাট গ্রামের এক হোটেল শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্জাক গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি স্থানীয় হোটেলে কাজ করার পর হোটেল মালিক প্রকাশ্য মারপিট করার পর অসুষ্হ হয়ে পড়লে তাকে আর খুজে পায়নি তার বাবা হতদরিদ্র ভ্যান চালক নুর ইসলাম।
সরজমিনে গেলে জানা যায়, খড়খড়িরহাট গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম জানান, রাজ্জাক হোটেলে কাজ করার জন্য সকালে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায়। পরে লোক মুখে শুনতে পারলাম রাজ্জাক নব্দীগঞ্জ বাজারে আবুল হোসেন চৌধুরীর হোটেলে কাজ করার সময় তাকে স্থানীয় আর এক হোটেল মালিক কাশেম মাষ্টার এর গুন্ডাবাহিনী ও তার ছেলে খোকন মিয়া জোর পূর্বক টেনে কাজ করারত অবস্থায় নিয়ে যায় এবং প্রকাশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে।
পরে আমি নব্দীগঞ্জ ঐ হোটেলে গিয়ে ছেলে কে চাইলে কাশেম মাষ্টারসহ তার ছেলে খোকন মিয়া ও তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাকেও প্রান নাশের হুমকি দেয়। নিখোঁজের পাঁচ দিন পরেও রাজ্জাকের কোনও খোজ খবর না পাওয়ায় আমিসহ আমার পরিবাররের সকল সদস্যরা চিন্তিত। সে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমি গরীব মানুষ। আমার ছেলেকে আপনারা এনে দেন। এটার বিচার চাই আমি।
ঘটনার ব্যাপারে কাশেম মাষ্টার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জানিতো অবশ্যই। সে এর আগে তিন বছর যাবত আমার এখানে কাজ করছিলো। যেখানে সে কাজ করতো আবুল হোসেন সেও আমার ছোট ভাই। ঘটনার দিন তাকে আমার ছেলে ডেকে নিয়ে এসে চর থাপ্তর দিয়েছে অন্য কিছু না। পরে ট্যাবলেট আনতে গিয়ে আর সে আসে নাই। আগে দেখা করেন তার পর যা করার তাই করিয়েন।
এব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।