রংপুর , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বর্তমান সরকার প্রশাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে : মির্জা ফখরুল  নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় ভালো প্রাইভেট পাইনি,তবুও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখি রংপুর আনসার ভিডিপির ইউথ লিডারশীপ কোর্স সমাপনী রংপুর মহানগর যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে বিএসটিআইয়ের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে মামলা আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ চালু করল সার্ভিসিং২৪ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমস্যা না: সিইসি কুৎসা রটিয়ে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে: আযম খান

নীলফামারীতে বিএসটিআইয়ের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে মামলা

  • Reporter Name
  • প্রকাশিত : ৮ ঘন্টা আগে
  • ৪০ বার পাঠ করা হয়েছে

 

নীলফামারী, ১৩ জুলাই ২০২৫:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত বিশেষ সার্ভিল্যান্স অভিযানে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সবিহীনভাবে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল বলে অভিযোগ উঠে। এসব অপরাধের জন্য ১৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নীলফামারীতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও অভিযোগের বিবরণ নিম্নরূপ:

১. মেসার্স সোহান পিভিসি পাইপস, সৈয়দপুর, নীলফামারী – মালিক: মোঃ নিজাম উদ্দিন (৫০); পণ্য: পিভিসি ইউ পাইপ ও ফিটিংস (পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত); মামলা নং: ২৪/২৫।

২. মেসার্স এম আর একতা পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: রমজান মামুদ (৩৬); একই ধরনের পণ্যের জন্য মামলা নং: ২৫/২৫।

৩. মেসার্স জনতা পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: নির্মল চন্দ্র সাহা (৬০); মামলা নং: ২৬/২৫।

৪. মেসার্স নকীব পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (৫৯); মামলা নং: ২৭/২৫।

৫. মেসার্স এ কে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ আতিকুর রহমান (৩৮); মামলা নং: ২৮/২৫।

৬. মেসার্স কল্পনা বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩০); পণ্য: বিস্কুট; মামলা নং: ২৯/২৫।

৭. মেসার্স ভাই বোন বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: হাবিবুর রহমান (৫০); পণ্য: ব্রেড; মামলা নং: ৩০/২৫।

বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারা ১৫ ও ২১ অনুযায়ী, মানসম্মত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পণ্য উৎপাদন না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসব ধারা অনুযায়ী, পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে এবং লাইসেন্সবিহীনভাবে উৎপাদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।

জনস্বার্থে বিএসটিআই’র এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর সূত্রে জানা গেছে।

About Author Information

জনপ্রিয়

বর্তমান সরকার প্রশাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি

নীলফামারীতে বিএসটিআইয়ের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত : ৮ ঘন্টা আগে

 

নীলফামারী, ১৩ জুলাই ২০২৫:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত বিশেষ সার্ভিল্যান্স অভিযানে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সবিহীনভাবে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল বলে অভিযোগ উঠে। এসব অপরাধের জন্য ১৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নীলফামারীতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও অভিযোগের বিবরণ নিম্নরূপ:

১. মেসার্স সোহান পিভিসি পাইপস, সৈয়দপুর, নীলফামারী – মালিক: মোঃ নিজাম উদ্দিন (৫০); পণ্য: পিভিসি ইউ পাইপ ও ফিটিংস (পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত); মামলা নং: ২৪/২৫।

২. মেসার্স এম আর একতা পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: রমজান মামুদ (৩৬); একই ধরনের পণ্যের জন্য মামলা নং: ২৫/২৫।

৩. মেসার্স জনতা পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: নির্মল চন্দ্র সাহা (৬০); মামলা নং: ২৬/২৫।

৪. মেসার্স নকীব পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (৫৯); মামলা নং: ২৭/২৫।

৫. মেসার্স এ কে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ আতিকুর রহমান (৩৮); মামলা নং: ২৮/২৫।

৬. মেসার্স কল্পনা বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩০); পণ্য: বিস্কুট; মামলা নং: ২৯/২৫।

৭. মেসার্স ভাই বোন বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: হাবিবুর রহমান (৫০); পণ্য: ব্রেড; মামলা নং: ৩০/২৫।

বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারা ১৫ ও ২১ অনুযায়ী, মানসম্মত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পণ্য উৎপাদন না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসব ধারা অনুযায়ী, পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে এবং লাইসেন্সবিহীনভাবে উৎপাদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।

জনস্বার্থে বিএসটিআই’র এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর সূত্রে জানা গেছে।