নীলফামারী, ১৩ জুলাই ২০২৫:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত বিশেষ সার্ভিল্যান্স অভিযানে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সবিহীনভাবে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছিল বলে অভিযোগ উঠে। এসব অপরাধের জন্য ১৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নীলফামারীতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও অভিযোগের বিবরণ নিম্নরূপ:
১. মেসার্স সোহান পিভিসি পাইপস, সৈয়দপুর, নীলফামারী – মালিক: মোঃ নিজাম উদ্দিন (৫০); পণ্য: পিভিসি ইউ পাইপ ও ফিটিংস (পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত); মামলা নং: ২৪/২৫।
২. মেসার্স এম আর একতা পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: রমজান মামুদ (৩৬); একই ধরনের পণ্যের জন্য মামলা নং: ২৫/২৫।
৩. মেসার্স জনতা পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: নির্মল চন্দ্র সাহা (৬০); মামলা নং: ২৬/২৫।
৪. মেসার্স নকীব পিভিসি পাইপ, সদর, নীলফামারী – মালিক: আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (৫৯); মামলা নং: ২৭/২৫।
৫. মেসার্স এ কে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ আতিকুর রহমান (৩৮); মামলা নং: ২৮/২৫।
৬. মেসার্স কল্পনা বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩০); পণ্য: বিস্কুট; মামলা নং: ২৯/২৫।
৭. মেসার্স ভাই বোন বেকারী, জলঢাকা, নীলফামারী – মালিক: হাবিবুর রহমান (৫০); পণ্য: ব্রেড; মামলা নং: ৩০/২৫।
বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ধারা ১৫ ও ২১ অনুযায়ী, মানসম্মত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত পণ্য উৎপাদন না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসব ধারা অনুযায়ী, পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে এবং লাইসেন্সবিহীনভাবে উৎপাদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
জনস্বার্থে বিএসটিআই’র এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর সূত্রে জানা গেছে।