বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দিনাজপুরে শোকের ছায়া নেমেছে। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ প্রিয় নেত্রীকে হারিয়ে গভীরভাবে দুঃখিত। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই গনেশতলা বিএনপির জেলা কার্যালয়ে সমবেত হন।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, আমাদের দিনাজপুরের কন্যা বিএনপির চেয়ারপার্সন ছাড়া আমরা কিছুই ভাবতে পারি না।
সম্প্রতি তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম, তার শিশু সুলভ আচরণ আমাদেরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তার প্রার্থী ঘোষণার পর আমরা তাকে নির্বাচিত করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। কিন্তু স্বপ্নই রয়ে গেল। জাতির জন্য তিনি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহম্মেদ কচি বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যখন দেশ সংকটে ছিল, তখনই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমন নেতা আর জন্মাবে না। রাজনীতির অঙ্গনে আজ আমরা একজন অভিভাবক হারালাম।
সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন।
তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দিনাজপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তার হাত ধরে হয়েছে। আমরা তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করব।
দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রওশনারা ছবি বলেন, তিনি দেশের জন্য গর্বের ছিলেন। আমরা গর্বিত, তিনি আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কিন্তু তিনি বড় অসময়ে চলে গেলেন।আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকালে এভার কেয়ার হাসপাতালে ৩৭ দিনের অসুস্থতার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।