বেগম খালেদা জিয়া। তাকে বলা হয় ‘আপোষহীন নেত্রী’। ‘দেশনেত্রী’ হিসেবেও পরিচিত। দেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে তার আমৃত্যু আপোষহীন লড়াইয়ের কল্যাণেই তার নামের পাশে এই বিশেষণ। তিনি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি হয়ে ওঠেন দল-মতনির্বিশেষে দেশের অভিভাবক।
কঠিন সব রোগ-শোকে আর অসহনীয় পরিস্থিতির সঙ্গে অবিরাম লড়াই করেছেন খালেদা জিয়া। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মৃত্যুকে সঙ্গী করে দুই সন্তানসহ ন্দিজীবন, ১৯৭৫ সালে স্বামীসহ গৃহবন্দি, ১৯৮১ সালে সেনা হামলায় অকালে স্বামীহারা, এরশাদের সামরিক শাসনের সময় হামলা-মামলা, শেখ হাসিনার সরকারের অসহযোগিতায় ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও বড় ছেলে তারেক রহমানের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতা, ছোট ছেলের প্রবাসে মৃত্যু, বানোয়াট মামলায় নিজের কারাবাস, নানা রোগ-ব্যাধি সবকিছু মোকাবিলা করেছেন দৃঢ় মনোবলে।
সর্বশেষ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক অনিশ্চয়তাকে বিস্মিত করে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গেছেন, কারবার ফিরে আসেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে, যেন নির্বাসিত বড় ছেলে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুসংবাদ শুনে যাবেন। গত ২৫ ডিসেম্বর ফিরে এসেছেন তারেক রহমান। ছেলের হাতের শেষ ছোঁয়া যেন তাকে পরিপূর্ণ করে দেয় পার্থিব জীবনের পথচলার।
আজ ৩০ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর সকাল ছয়টায় ইহজীবনের ইতি টানেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Reporter Name 























