নীলফামারীর সৈয়দপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মোঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে ‘আমুল’ (৫১)–কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর ২০২৫) জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার একটি বসতবাড়ি থেকে র্যাব-১৩ ও র্যাব-৫ এর যৌথ আভিযানিক দল তাকে আটক করে।
র্যাব জানায়, “বাংলাদেশ আমার অহংকার”—এই মূলমন্ত্র ধারণ করে নারীর প্রতি সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, হত্যা-অপহরণসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ দমনে বাহিনীটি দীর্ঘদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুবিষয়ক সংবেদনশীল অপরাধ মোকাবিলায় র্যাব পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী, যিনি প্রায়ই বাড়ির বাইরে একা অবস্থান করেন। এই সুযোগে গত ৩১ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত আমিনুল কৌশলে তাকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে—আসামি পূর্বেও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
ঘটনার পর ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে ৩ নভেম্বর সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–০৩)।
এমতাবস্থায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা মানববন্ধন করে দ্রুত আসামি গ্রেফতারের দাবি জানায়। গণমাধ্যমেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামিকে ধরে আনার জন্য তৎপরতা বাড়ায়।
গ্রেফতার এড়াতে আমিনুল দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। পরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে র্যাব-১৩, সিপিসি-২ নীলফামারী এবং র্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট—দুই ইউনিটের যৌথ দল ক্ষেতলালে মোঃ ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতারকৃত আমিনুল ইসলামকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যাসহ যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধে বাহিনীর সদস্যরা দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করছে এবং চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

Reporter Name 


























