বাংলা বর্ষপঞ্জির মাঘ মাসের শুরুতেই উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। টানা ১১ দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর গত দুদিন থেকে বইছে এ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘন-কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। সকাল গড়িয়ে দুপুরেও সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার প্রকোপ। কুয়াশার চাদরে পথ-ঘাট ও প্রকৃতি ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান-বাহন।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষজন। ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
জেলার কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত আগরওয়াল বলেন, সকাল ১০টা বাজে সূর্যের দেখা নেই। কাজো যেতে এ ঠাণ্ডায় খুব কষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন থেকে ঠাণ্ডা বাতাসটাও খুব পড়ছে।পৌরসভা এলাকার রিকশাচালক আহাদুল বলেন, রাতের বেলা কুয়াশা বৃষ্টির মতো পড়ে । সকালে হিম শীতল বাতাস। ঠাণ্ডার কারণে যাত্রী খুবই কম। খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে। ধরলা পাড়ের জেলে হরিচাঁন বলেন, আমাদের এইদিকে খুব ঠাণ্ডা । এখন পর্যন্ত কোনো কম্বল এই এলাকায় কেউ পায়নি।
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে শীতাদের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরও ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।