সিগারেট, জর্দা ও গুলসহ তামাকজাত পণ্যে বাড়তি করারোপ তামাকবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলোর অনেক দিনের দাবি। তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধুমপান ও তামাকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ দাবি করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। বিপরীতে করারোপে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকে তামাক পণ্য উৎপাদন ও বিপননকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।
সম্প্রতি আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাক পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশন।
এছাড়াও তামাকজাত পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২৫ জন সংসদ সদস্য। এনবিআর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ২৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত অফিসিয়াল সুপারিশপত্র (ডিও লেটার) তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে কর বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত একটি পদ্ধতি। কিন্তু দেশের বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে আশানুরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলেই মনে করছেন তারা। তাই রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যের দাম ও কার্যকরভাবে কর বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের। একই দাবিতে এনবিআরকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) ও গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা।