রংপুর , বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে বোন মেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেই সুস্থ হবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশিক

  • Reporter Name
  • প্রকাশিত : ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৫ বার পাঠ করা হয়েছে

নীলফামারীতে বোন মেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেই সুস্থ হবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশিক

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাফিউজ্জামান রাশিক (১২) গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকদের মতে, বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করালেই সে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
তবে অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা, যা জোগাড় করা রাশিকের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার বাবা মনিরুজ্জামান লিটন একজন সহকারী শিক্ষক এবং মা রিফা একজন গৃহিণী। ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতে তারা বসতবাড়ি ছাড়া প্রায় সব সম্পত্তিই বিক্রি করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা ব্যয় হলেও অপারেশন করানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে।
অসুস্থ রাশিক সুস্থ হয়ে আবার পড়াশোনা করে বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু চিকিৎসার বিপুল ব্যয়ভার মেটানো নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, “ছেলের জীবন বাঁচাতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
চিকিৎসকরা জানান, যথাসময়ে বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা গেলে রাশিক সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, সরকারি উদ্যোগ ও সমাজের মানবিক সহায়তাই এই মেধাবী শিশুর জীবন রক্ষার একমাত্র ভরসা।
About Author Information

জনপ্রিয়

নীলফামারীতে বোন মেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেই সুস্থ হবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশিক

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাফিউজ্জামান রাশিক (১২) গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকদের মতে, বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন করালেই সে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
তবে অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা, যা জোগাড় করা রাশিকের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার বাবা মনিরুজ্জামান লিটন একজন সহকারী শিক্ষক এবং মা রিফা একজন গৃহিণী। ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতে তারা বসতবাড়ি ছাড়া প্রায় সব সম্পত্তিই বিক্রি করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা ব্যয় হলেও অপারেশন করানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে।
অসুস্থ রাশিক সুস্থ হয়ে আবার পড়াশোনা করে বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু চিকিৎসার বিপুল ব্যয়ভার মেটানো নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, “ছেলের জীবন বাঁচাতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং সমাজের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
চিকিৎসকরা জানান, যথাসময়ে বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা গেলে রাশিক সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, সরকারি উদ্যোগ ও সমাজের মানবিক সহায়তাই এই মেধাবী শিশুর জীবন রক্ষার একমাত্র ভরসা।