নবনিযুক্ত উপাচার্য কে সংবর্ধনা-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ওয়ান বাংলাদেশ সংগঠনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য
অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ড. জাকির ওয়ান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। শুক্রবার (০৩ জুন) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টায় বাকৃবির শিক্ষক কমপ্লেক্সে সভাকক্ষে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওয়ান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক
অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. রশীদুল হাসান এবং
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুন-অর-রশিদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম এবং ওয়ান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি
অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুনসহ প্রমুখ।
ক্যাম্পাসে অস্থিরতাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (৩ জুন) সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূ্ইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পাকিস্তানিদের দোসর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মদতদাতাদের ষড়যন্ত্র ও আস্ফালন শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী পঁচাত্তরের খুনি চক্র নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ১৯৭৫-এর কালো অধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে তারা জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি। একইসঙ্গে এ অপতৎপরতা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্র বলে প্রতীয়মান হয়।
সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সশস্ত্র অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঢাবির বিবেকবান শিক্ষক সমাজ এ ধরনের ঘৃণ্য তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করা এবং দেশে বিরাজমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বিনষ্ট করার যেকোনো অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করে শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকরা এসব পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করবে। ঢাবি শিক্ষক সমিতি এসব অপশক্তিকে খুঁজে বের করে আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।