জিংক ধানের ভ্যালু চেইন অ্যাক্টরস মিটিং অনুষ্ঠিত
হারভেস্টপ্লাসের সহযোগিতায় রংপুরে আরডি আর এস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুপুরে জিংক ধানের ভ্যালু চেইন অ্যাক্টরস মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
ইভেন্টের উদ্দেশ্য ছিল বাজার চেইনের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করা যারা জিংক ধান ও চালের বাণিজ্যিকীকরণে অবদান রাখতে পারে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর অ লের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কৃষিবিদ এমদাদ হোসেন শেখ, আরডিআরএস
বাংলাদেশেরহেড অব অ্যাডমিন অ্যান্ড জেনারেল সার্ভিস মোঃ নজরুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রিয়াজুর রহমান রাজু, তারাগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ রইছ উদ্দিন। এতে বক্তব্য রাখেন আরডিআরএস সিনিয়র
সমন্বয়ক কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রশিদ, হারভেস্টপ্লাস সিবিসি প্রোগ্রামের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ রুহুল কুদ্দুস প্রমূখ।প্রধান অতিথি বাংলাদেশের
উত্তরা লে জিংক ধানের বর্তমান অবস্থা, বাজার সম্প্রসারণ এবং জিংক চালের বাণিজ্যিকীকরণের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
রংপুর জেলায় ২০২১-২২ বোরো মৌসুমে ১১,৮৮৪ হেক্টর জমি বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান চাষের আওতায় এসেছে। উচ্চ ফলন,
পরিবেশ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুষ্টিগত সুবিধা থাকার কারণে, বাংলাদেশের উত্তরা লের কৃষকরা ব্যাপকভাবে বায়োফর্টিফাইড
জিংক ধান ব্রিধান-৭৪ বেছে নিচ্ছে। এখন সময় এসেছে য়োফর্টিফাইড জিংক চালকে বাংলাদেশ সরকারের সকল
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যা বাণিজ্যিকীকরণের জন্য বিশাল বাজার হবে”। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, প্রাথমিকভাবে
এই বছর রংপুর জেলাকে জিংক ধান পাবলিক ক্রয় কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা একটি ভালো উদ্যোগ। ২০২১-২০২২ বোরো
মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ৯০০ মেট্রিক টন জিংক ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তবে আমরা নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি
কেনার জন্য প্রস্তুত। আগামীতে সব জেলা থেকে সরকারী সংগ্রহে জিংক ধান ও চাল অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে সরকারী ও বেসরকারী
সেক্টর সবাই একসাথে আমরা কাজ করব। বায়োফর্টিফাইড জিংক ধানের বাণিজ্যিকীকরণে সিবিসি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য
হারভেস্টপ্লাস এবং গেইন কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। আশা করি আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে সুপ্ত ক্ষুধা কমাতে জিংক
চালের একটি বিশাল বাজার তৈরি করতে তারা আমাদের সাথে কাজ করবে।