র্যাব ১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর কর্তৃক গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৫ বছরের পলাতক প্রধান আসামীকে রংপুর মহানগরীর লালবাগ হতে গ্রেফতার।
মামলার সূত্রে জানা যায় যে, গত ২০০৭ সালের ২৬ মে রংপুর জেলার তাজহাট টিবি হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে রিকশা থেকে নামিয়ে নগরীর খামার এলাকার পূর্ব দিকে গাছের নিচে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ ঐ সময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে আসাদুল নামে একজন ব্যক্তিকে আটকে রাখে এবং একই সময় অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে আসামী আসাদুলকে গ্রেফতার করে। উক্ত ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজে রংপুর জেলার কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী অফিসার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রমাণ পায়। উক্ত মামলাটি নিয়ে তদন্ত করাকালে তদন্তকারী অফিসার ১০/০৯/২০০৭ ইং তারিখে প্রধান আসামি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবুসহ আরো দুইজন আসামী মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং মোঃ রঞ্জু মিয়া এর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে ১২ জন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ বিচারক আসামী বাবু, আসাদুল এবং রঞ্জু মিয়া’কে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। উক্ত মামলার রায় ঘোষনার সময় আসামী আসাদুল ও রঞ্জু মিয়া বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামী বাবু পলাতক ছিল। মামলার রায় ঘোষনার পর থেকেই প্রধান আসামী মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। আসামী বাবুর নামে উক্ত মামলা ছাড়াও ০২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ০২টি চুরি এবং ০১টি মাদক মামালাসহ পৃথক মোট ০৫টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৫ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখ রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানাধীন লালবাগ রেলগেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৫ বছরের পলাতক প্রধান আসামী মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু, পিতা-আঃ সাত্তার, সাং-লালবাগ কে.ডি.সি রোড, থানা-কোতয়ালী, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।