1. [email protected] : Live Rangpur :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় পশুর হাটে বাড়তি খাজনা আদায়

  • Update Time : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ২৯০ Time View
গাইবান্ধায় পশুর হাটে বাড়তি খাজনা আদায়
গাইবান্ধায় পশুর হাটে বাড়তি খাজনা আদায়

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পশুর হাটগুলোতে খাজনা বা হাসিল আদায়ে কোনো নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাটের ইজারাদাররা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের কাছ থেকেই খাজনা বা হাসিল আদায় করছেন। এমনকি হাটে টাঙানো হয়নি সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায়ের তালিকাও।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা হাট-বাজারের নতুন হাসিল রেট অনুসারে প্রতিটি গরু ৪০০ টাকা ও ছাগল ১৫০ টাকা হাসিল বা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই খাজনাও দেবেন কেবল ক্রেতা। বিক্রেতা কোনো হাসিল বা খাজনা দেবেন না। অথচ এই কথার কোনো মূল্য দিচ্ছেই না ইজারদারেরা।শনিবার সরেজমিনে উপজেলার শোভাগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গরু ক্রেতার কাছ থেকে ৬’শ টাকা, বিক্রেতার কাছ থেকে ২’শ টাকা, প্রতিটি ছাগল ক্রেতার কাছ থেকে ৩’শ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২’শ টাকা করে আদায় করছেন। পশুরহাটে খাজনা আদায়ের তালিকা টাঙানোর বিষয়ে ইজারাদারদের প্রতি সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। ফলে তারা শুধু পশুর হাট থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতা ও পশু ব্যবসায়ীরা।একই চিত্র দেখা গেছে, মীরগঞ্জ, বেলকা, নগর কাঠগড়া হাটসহ উপজেলার প্রায় সব পশুরহাট গুলোতে। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত মনগড়াভাবে খাজনার নাম দিয়ে অর্থ লুটে নিচ্ছে ইজারাদাররা।শোভাগঞ্জ হাটের জামাল উদ্দিন নামের এক গরু ক্রেতা বলেন, ‘বহু কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি ষাঁড় গরু ক্রয় করার জন্য হাটে এসেছি। গরু কেনার পর ৬০০ টাকা খাজনা দিতে হলো। আমার বাপ-দাদারা হাটে গরু ছাগল কিনেছিল তখন তাদের টাকা লাগে নাই আর এখন হাটে পশু কিনলেও টাকা বিক্রি করলেও টাকা লাগে।আরিফুল ইসলাম নামের এক অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই একটা গরু কিনেছি। তখন ৫’শ টাকা খাজনা নিয়েছে। আজ একটা কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসে দেখি ক্রেতার কাছে ৬’শ ও বিক্রেতার কাছে ২’শ টাকা খাজনা নিচ্ছে।আলম মিয়া নামে একজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন হাটে গরু কিনলে ৬’শ ও বিক্রি করলে ২’শ টাকা খাজনা দিতে হয়। এনিয়ে ইজারাদারদের বলেও কোন লাভ হয়নি।একই হাটে গরু বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি একটা গরু অনেক কষ্ট করি লালন-পালন করেছি। সামনে কোরবানির ঈদ তাই আজ হাটে এনে ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম। এসময় আমার কাছে ২’শ টাকা ও ক্রেতার কাছে ৬’শ টাকা নিয়েছে।শোভাগঞ্জ হাটের ইজারাদারের নিয়োগ করা কর্মীদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘সামনে কোরবানির ঈদ, তাই গরু ক্রেতার কাছে ৬’শ ও বিক্রেতার কাছে ২’শ টাকা খাজনা নেওয়া হচ্ছে। আগে ক্রেতার কাছে ৫’শ ও বিক্রেতার কাছে ১’শ টাকা করে নেওয়া হতো।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘পশুরহাটে খাজনা আদায়ের জন্য ইজারাদারদের নির্ধারিত তালিকা টাঙিয়ে সে মোতাবেক খাজনা আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি এর কোন ব্যত্যয় ঘটে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © Rangpur24.com 0176414680 [email protected]