ডিমলায় ভারতীয় গরু নিলামে বিক্রি-নীলফামারীতে অবৈধ পথে ভারত থেকে আসা আটটি গরু ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকায় নিলামে বিক্রি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে ওই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৪ মে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা আটটি গরু জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই কলোনি সীমান্ত গ্রাম থেকে আটক হয়। এরপর প্রক্রিয়া শেষে উক্ত গরু আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিলামে তোলা হয়।প্রকাশ্য ওই নিলামে আটি গরু ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। গরু বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
ডিমলা থানানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইসুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হাসান, সহদেব চন্দ্র রায়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন কবীর, মো. মেহেদী হাসান, জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অক্ষয় কুমার রায়, কোর্ট পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম।ডিমলায় ভারতীয় গরু নিলামে বিক্রি
মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভের গল্প রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামে বড় হয়েছি। এখান থেকে কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাদ্রাসা। প্রথমে বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১১ সালে দাখিল ও পরে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৩ সালে আলিম পাশ করি। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের অধীনে বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে এএলবি অনার্স শেষ করি। সব শেষ ২০১৯-২০ সেশনে বার প্রফেশনাল ট্রেইনিং কোর্স করি। যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত অনারেবল লিংকনস ইন থেকে গত ২৬ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বারের ব্যারিস্টার হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করি।’
খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমার পড়াশোনার শুরুটা গ্রাম থেকে। মাদ্রাসা থেকে ল পড়বো, তাও আবার ব্যারিস্টার হবো, এটা ছিল কল্পনার বাইরে। ব্রিটিশদের ল পড়াটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে ইচ্ছাশক্তি ও সবার সহযোগিতার কারণে এত দূর আসতে পেরেছি।’
আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার মূলত ইচ্ছা ছিল রাজনীতিক হওয়ার। মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার। আমার দাদা হাজী মো. হায়েত আলী ইউপি সদস্য ছিলেন। বাবা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। আমারও তেমন ইচ্ছা ছিল। পরে দেখলাম, এই যাত্রা অনেক লম্বা হবে। গ্রামের মানুষেরা আইনি সেবা পায় না। অনেকে নিপীড়নের শিকার হয়। তাই ভাবলাম আইনকেই নিজের ভবিষ্যৎ বানিয়ে নেওয়ার। সেই অনুযায়ী প্রস্ততি নিয়ে অবশেষে এই অর্জন এলো।