কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে আফ্রিকার মরু অঞ্চলের ফুল অ্যাডেনিয়াম। জেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য কুমরপুর গ্রামে এক চাষি তার নার্সারিতে অ্যাডেনিয়ামসহ ৬০ প্রজাতির মরু গোলাপের চাষ করছেন। বাহারী রঙের এসব ফুল দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। এর চাষের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা গড়ে উঠলে বেকারত্ব দূর করায় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বনসাই আকৃতির গাছে ফোটা এই ফুলটির নাম ‘অ্যাডেনিয়াম’। এটি আফ্রিকার মরু অঞ্চলের গোলাপ হিসেবে পরিচিত। দীঘর্দিন পানি ছাড়া এই গাছ টবে বেঁচে থাকতে পারে। এ গাছের ফুলে, গোলাপের মতো দুই থেকে তিনটি করে পাপড়ির স্তর থাকে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মিজানুর রহমান, তার নার্সারিতে বিচিত্রধর্মী এ ফুল গাছ চাষ করছেন। ৭০ শতক জমিতে এ ফুলের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
মিজানুর রহমানের জমিতে এখন দেড় কোটি টাকার চারা রয়েছে। একসময়, এটেল মাটিতে মরু গোলাপের চাষ নিছক পাগলামী হিসেবে এলাকাবাসী দেখলেও, এখন বদলে গেছে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। বর্তমানে এই নার্সারি থেকে ফুলের চারা ও গাছ সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে মিজানুর রহমান থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়ে বনসাই জাতের অ্যাডেনিয়াম ফুল দেখে মুগ্ধ হন। সেখান থেকে কিছু চারা কিনে এনে বাসার ছাদে চাষ শুরু করেন তিনি। তা থেকে সফলতা পেয়ে বাণিজ্যিকভাবে মরু গোলাপ চাষ শুরু করেন। এ ফুলের ভেষজ গুণ রয়েছে বলে জানান এই শিক্ষাবিদ।
এই ফুল গাছ চাষ করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব বলে মনে করেন বিসিকের এই কর্মকর্তা।