জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘বর্তমানে আলুর বাজার টাকাওয়ালাদের হাতে জিম্মি। হিমাগার মালিকরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষিদের না দিয়ে নিজেরাই আলু কিনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। তারাই আলুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছি। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারাও অভিযান পরিচালনা করছে।
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে এসময় পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সফিকুল আলম ডাবলু, মুক্তা হিমাগারের মালিক সৈয়দ আলী, ক্যাবের সম্পাদক মঞ্জরুল আলম সিয়াম, নীলফামারী প্রেসক্লাব সভাপতি তহমিন হক ববি ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ আজ সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে নীলফামারীর অঙ্কুর হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এজেন্ট, ব্যাপারী, হিমাগার মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছেন। কয়েকদিনের মধ্যে দাম না কমলে ডিমের মতো আলুও আমদানি করার সুপারিশ করা হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।