১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ১
ধৃত আসামী মোঃ মজনু মিয়া (৫৪), পিতা-মৃত সাদুরা মামুদ, সাং-চিনিপাড়া, থানা ও জেলা-লালমনিরহাট এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু ৪১/১০,জিআর-১০/১০(লাল) ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় অপরাধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে উক্ত ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করতঃ তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে। উল্লেখ্য যে, বিগত ১৩ বছর আগে এই মামলার অপর আসামী মোঃ সাইদুর রহমান(৩৫), পিতা-মৃত জাবেদ ভাটিয়া, সাং-চিনি পাড়া, থানা-লালমনিরহাট সদর, জেলা-লালমনিরহাট ভিকটিম মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১৫)কে বিভিন্ন সময় প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দিত। কিন্তু ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আসামী সাইদুর রহমান তার বন্ধু ধৃত আসামী মোঃ মজনু মিয়াকে অত্র মামলার ভিকটিম মোছাঃ হাসিনা খাতুন কে উঠিয়ে নিয়ে তার নিকট নিয়ে আসতে বলে। আসামী সাইদুর এর কথামত ধৃত আসামী মজনু মিয়া ভিকটিম এর নিজ বাড়ি থেকে ভিকটিমকে কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে ঠাকুরগাঁও কোন এক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ধৃত আসামী মজনু মিয়া, সাইদুরসহ আরো একজন আসামী ভিকটিমকে আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানার পর থানায় মামলা করলে থানা পুলিশ আসামীসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে আসামী মজনু মিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে গত ১৩ বছর যাবৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে। এভাবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মজনু মিয়া (৫৪) দীর্ঘ ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামীর সন্ধানে র্যাব মাঠে নামলে আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৪ জুন ২০২৩ ইং তারিখ র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর এবং র্যাব-১, সিপিসি-১, উত্তরা, ঢাকা যৌথভাবে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকার তুরাগ থানাধীন ধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সামনে হতে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ ও গণ-ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৩ বছর যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ মজনু মিয়া (৫৪), পিতা-মৃত সাদুরা মামুদ, সাং-চিনিপাড়া, থানা ও জেলা-লালমনিরহাট’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১৫)কে অপহরণ ও গণ-ধর্ষণ করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে লালমনিরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।