শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলা-২০২৩।
করোনার কারণে গত তিন বছর নানা বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে গেলেও এবার পুরোনো আমেজে ফিরছে বইমেলা। ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য ধারণ করে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২৩ উদ্বোধন করবেন।
এবার বইমেলা সুবিশাল বিস্তৃতি নিয়ে হলেও আঙ্গিকগত কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন ও স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বাংলা একাডেমির মূল অংশেই থাকছে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অংশে থাকছে সব খাবারের দোকান, নামাজের স্থান, টয়লেট। এবার কোনো অবস্থাতেই মেলার বিভিন্ন অংশে খাবারের দোকান করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২ প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯ প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। লিটলম্যাগ চত্বরে ঠাঁই পেয়েছে ১৫৩টি স্টল।
ছুটির দিন ছাড়া মেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শক, ক্রেতা, পাঠকদের রাত সাড়ে ৮টার পর মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটির দিন বইমেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।
শিশু চত্বরটি এবার মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডানদিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্খিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।
বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসাবে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জমাকৃত নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ, তথ্য এবং বইমেলার মানচিত্র পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে।