রিপোর্টার:
রংপুর শহর, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
গতকাল রাতব্যাপী বিদ্যুৎ না থাকার প্রভাব আজ দিনের বেলা শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা কমে যাওয়ায় নিত্যযাত্রী ও অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
সকালে শহরের প্রধান প্রধান এলাকায় — সেন্ট্রাল রোড, জাহাজ কোম্পানি মোড়, মডার্ন মোড়সহ — ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে সাধারণত সারি ধরে ব্যাটারিচালিত অটো দেখা যায়, সেখানে আজ অনেকটা ফাঁকা চিত্র।
চালকদের ভাষ্যে:
রাস্তায় থাকা অল্প কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাতব্যাপী বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ চালক তাদের অটোর ব্যাটারি চার্জ করতে পারেননি। ফলে সকালে গাড়ি নিয়ে বের হতে পারেননি।
শহরের এক অটোচালক রবিউল ইসলাম জানান, "রাতে কারেন্ট ছিল না, ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জ হয় নাই। এখন গাড়ি চালাইলে কিছু দূর যাওয়ার পরই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অনেকে আজকে গাড়ি বের করে নাই।"
যাত্রীদের ভোগান্তি:
অটো সংকটের কারণে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে রিকশা বা ভাড়ায় মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছেন, তবে এতে গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া।
কলেজছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, "সকালে ক্লাসে যেতে অনেক দেরি হয়ে গেল। অটোর জন্য আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেছি, তারপর বাধ্য হয়ে রিকশায় যেতে হয়েছে। রিকশাভাড়া তুলনামূলক অনেক বেশি লাগছে।"
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:
রংপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (RPDC) এক কর্মকর্তা জানান, রাতে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, "ব্যবস্থাপনাগত কারণে আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে। সামনের দিনগুলোতে এমন সমস্যা এড়াতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।"
সামগ্রিক চিত্র:
বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুধু বাসাবাড়ির দৈনন্দিন জীবনে নয়, শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের উপর নির্ভরশীল শহরবাসীর জন্য এটি বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।