বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ৯:১৯ সময়
Share Tweet Pin it
[বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ]

লালমনিরহাট: আমদানি মূল্য কমানোর দাবিতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। শনিবার (১ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে।
পাথর আমদানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথরের আমদানি মূল্য বেশি হওয়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানীকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গত মাসে পাথরের ডলার মূল্য কমাতে ভারত-ভুটানের রপ্তানিকারকদের চিঠি দিয়েছিল বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।

গত ০৪ ও ১৬ জানুয়ারি ব্যাংকিং সুদ বৃদ্ধি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বাজার মূল্যের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে ভারত ও ভুটানের পাথর রপ্তানিকারকদের পাথরের মূল্য পুনঃনির্ধারণে চিঠি দেয় বুড়িমারী আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।

চিঠির সদুত্তর না পেয়ে ১৯ জানুয়ারি বুড়িমারী অ্যাসোসিয়েশন সভা করে। সভায় ব্যবসায়িক ক্ষতি হতে রক্ষায় ভুটান থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১৫ ডলার ও সামসি স্টোন ১৪ ডলারে এবং ভারত থেকে স্টোন বোল্ডার তোর্শা প্রতি মেট্রিক টন ১০ ডলারে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে পাঠাতে সিদ্ধান্ত জানায় বুড়িমারী আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।  

 

অন্যথায় ০১ ফেব্রুয়ারি হতে সাময়িকভাবে এসব পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। যা ওই দুই দেশের রপ্তানিকারকদের জানানো হয়। সেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখে বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাথর ব্যবসায়ীরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, আমরা সব সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন মিটিং করে স্টোন বোল্ডার, ক্রাশ স্টোন এবং ভুটানি বোল্ডার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এ দামে যদি তারা বোল্ডার না দেয় তাহলে আমদানি বন্ধ থাকবে। যা আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি বলেন, ভুটানি এবং ভারতের বোল্ডার পাথরের বর্তমান দাম নির্ধারণে সেখানকার রপ্তানিকারকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া না পাওয়ার কারণে আমাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক সময়ের জন্য পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি।