আমরা শান্তিতে আছি অনেকের তা ভালো লাগে না : আজহারি

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ৭:৫৫ সময়
Share Tweet Pin it

জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ড. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘আবহমানকাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সব মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশ। আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, ভালোবাসা, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, বোঝাপড়া অনেক মজবুত। আমাদের এই সম্পর্কের মাঝে অনেকে ফাটল ধরাতে চায়। আমরা যে সুখে আছি, শান্তিতে আছি অনেকের তা ভালো লাগে না।শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে লালমনিরহাটে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে জেলা শহরের শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারে পৌঁছান মিজানুর রহমান আজহারি। এ সময় ভক্তরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ‘তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করলে হিন্দু ভাইয়েরা কোনো ডিস্টার্ব করেন না। আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, ভালোবাসা আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। আমি যদি বলি আপনারা হাত তোলেন। শত শত হাত এখানে উঠবে কিন্তু আমি বলতে চাই না।খুলনায় কয়েক শ হিন্দু ভাইরা আসছেন আমাদের আলোচনা শুনতে। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক বৌদ্ধরা আসেন আমাদের আলোচনা শুনতে। আমাদের অমুসলিম ভাইদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা আমাদের একটি দায়িত্ব। আমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল।ইসলামের সৌন্দর্য এমন করে ফুটিয়ে তুলতে হবে, যাতে করে অমুসলিম ভাইরা কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে যান।’

 

তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা নেই। আমরা ভাই ভাই। কিছু দুষ্ট লোক আছে, তারা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে চায়। মাঝেমধ্যে ঝগড়া লাগাতে চায়। পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনায় হামলা চালানো হয়। এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রমাণিত। এগুলোর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। এ জন্য দুর্বৃত্তদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। সব সময় ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’

ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ‘হিন্দুদের পূজার অনুষ্ঠানের দিন আমরা মাহফিল করি না। যেদিন আমাদের তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হয় ওই দিন তারাও পূজা অনুষ্ঠান করে না। পূজা অনুষ্ঠানে মাদরাসার ছাত্ররা গিয়ে পাহারা দেন। গোটা বিশ্বে এ রকম নজির বিরল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্ররা গিয়েই পাহারা দেন। এ নজির গোটা বিশ্বের কোথায় পাবেন না।