বকের কলরবে মুগ্ধ পথচারী. দিনাজপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের পাশে হাজারও সাদা বকের বাসা। বকের কলরবে মুগ্ধ পথচারী ক্ষণিকের জন্য হলেও দাঁড়িয়ে পড়ছেন।
সাদা বক ও কালো পানকৌড়ির ছোটাছুটি দর্শনে বিমোহিত হচ্ছেন। বিকেল হলেই নিড়ে ফিরে এসব পাখি, আবার ভোর হলেই খাবারের সন্ধানে বেড়িয়ে পরে
বক পাখিগুলো।শুক্রবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী উপজেলার বলিহরপুর গ্রামের মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ততম সড়কের পাশে বাঁশ ঝাড় ও জঙ্গল।
বাঁশঝাড় ও গাছের ডালে হাজারও বক ও পানকৌড়ির ছড়াছড়ি। সড়কের যানবাহনের শব্দের মাঝেও শোনা যাচ্ছে বকদের কিচির-মিচির।
গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়েও এসব পাখি নির্ভয়ে এ ডাল থেকে সে ডালে ছোটাছুটি করছে, উড়ে বেড়াচ্ছে।
পাখিগুলো যেন জনবসতির মধ্যে থাকতেই ভালোবাসে। দেখে মনে হচ্ছে গ্রামবাসীর সঙ্গে তারাও যেন মিশে গেছে। এদের রক্ষণাবেক্ষণে গ্রামবাসীও সচেতন।
গ্রামের লোকজন বাইরে থেকে আসা কাউকে পাখি শিকারে প্রশ্রয় দেন না ।প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে আসতে শুরু করে এসব পাখি।
অবস্থান করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত। পাঁচ মাস তারা থাকে, এই সময়ের মধ্যে প্রজনন শেষে করে এবং বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর চলে যায় তারা।
গ্রামের পাশের নদী-নালা, খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে নানা জাতের মাছ, পোকামাকড় ও শামুক-ঝিনুক খেয়ে থাকে এই পাখিগুলো।
নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে বাসা বেঁধে প্রজনন থেকে শুরু করে ডিম দেওয়া, ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটানো, বাচ্চা বড় করা-
সবকিছু এখানেই তারা সম্পন্ন করে।স্থানীয় স্বজল চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এই গ্রামে প্রায় অনেক দিন ধরে বক পাখিগুলো আসে।
বছরে ছয় মাস তারা আমাদের গ্রামের বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন গাছে বসবাস করে আসছে। সড়কের উপর দিয়ে যত যানবাহন চলাচল করে,
সবাই এক নজর পাখিগুলোকে দেখার চেষ্টা করে। এছাড়াও দূরের অনেক লোক এসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পাখিগুলোর ডাক শোনে।
হলিহরপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এসব পাখি এখানে বসবাস করে আসছে।
পাখিগুলো এলাকায় সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে, তাই তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা গ্রামবাসীরা করি।
কাউকে এদের শিকার করতে দেই না। এবিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে রেখেছি।