প্রাথমিকের ১৭ প্রার্থী বহিষ্কার ১৩ জনকে কারাদণ্ড-গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৭ প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১৩ প্রার্থীকে।
জানা গেছে, শুক্রবার (০৩) জুন সকাল সাড়ে ১০ থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় ২৩টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেন ৩০ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন।
রাতে এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন
বিভিন্ন অসদুপায় করেন, ১৩ জন ডিভাইসের ব্যবহার করেন। তাই ডিভাইস ব্যবহারকারীদের আটক করি বিভিন্ন
মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। বাকিদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এবার গাইবান্ধায় প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সদর, গোবিন্দগঞ্জ,পলাশবাড়ী উপজেলার ১১ হাজার ৩৩৮ জন প্রার্থী।
আগামীকাল দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে জাতীয় চা দিবস। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন,
চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এক সময় চা ছিল আমাদের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের
উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।
১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা
বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে
চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়।
চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকের ১৭ প্রার্থী বহিষ্কার ১৩ জনকে কারাদণ্ড