হাতীবান্ধায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা
সুমন খান লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবী এলাকায় আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৯ বিঘা জমির পাকা ধান ও বাঁশ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়েত নেতা নবী উদ্দিনসহ স্বপন চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
ওই এলাকার নাসির উদ্দিনের পুত্র শহিদুল ইসলাম সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে দাবী করেন, সিএস, এসএ ও বিআরএস মূলে আমরা এ জমির প্রকৃত মালিক এবং চাষাবাদ করে আসছি। বেশ কিছু আগে ওই এলাকার নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রসহ কয়েকজনের ভুয়া মালিকানা সেজে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেন। যার বিআরএস খতিয়ান নং ৫০৪, ৫৩১,৬৯০ ও ৬৯১। এর দাগ ৩৩৮৬, ৩৩৮৭, ৩৩৮৮, ৩৩৮৯, ৩৪৬৯,৩৪১০ ও ৪৭৮৬। উক্ত জমি আমার পিতা নাসির মিয়াসহ আমার পরিবারের নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে।
কিন্তু নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রসহ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে ওই স্থানে শ্মশান ও মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা করছে। ফলে ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি শ্মশান ও মন্দিরের জন্য মাত্র ৭১ শতক জমি দাবী করলেও তারা ইতোমধ্যে আমাদের ৯ বিঘা জমির পাকা ধান ও বাঁশঝাড়ের বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় আমরা আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে রোববার দুপুরে আবারও উক্ত জমির ধান কেটে নিয়ে যায় ।
তবে বিষয়টি নিয়ে জামায়েত নেতা নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রের সাথে কথা হলে তারা জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, ওই জমির দ্বন্দ্ব নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি শ্মশান ও মন্দিরকে ইস্যু বানিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে সর্তক অবস্থানে আছি। ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞার নিয়ে প্রশ্নের জনারে তিনি আরও বলেন যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে থাকে তাহলে অবশ্যই আদালত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।