র্যাব-১৩, রংপুর কর্তৃক বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী গ্রেফতার
গত ১১ জুলাই ২০২৩ তারিখ লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন ইচলির চর গ্রামস্থ আসামী মোঃ শামীম মিয়া(২৮) ও তার সহযোগীদের নির্মম আঘাতে ভিকটিম আজিজার রহমান (৭০)খুন হয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায় যে, লালমনিরহাট জেলা কালীগঞ্জ থানার ইচলির চর গ্রামের আনারুল ইসলাম সিরাজুল মার্কেটে আম বিক্রি করেন। গত ১০ জুলাই সোমবার তার কাছ থেকে আম কিনেন একই গ্রামের শামীম ও শাহীন। সেই আমের মধ্যে একটি আম পঁচা ছিল, যা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে বিতর্ক হয়। এরই জের ধরে গত ১১ জুলাই মঙ্গলবার পুনরায় ক্রেতা-বিক্রেতার তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। আসামী শামীম ও তার সহযোগীরা এ সময় আনারুল ইসলামকে রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় আনারুলের দোকানে বসে থাকা বৃদ্ধ আজিজার রহমান(৭০) নির্মমভাবে হামলা ও মারাত্মক মারপিটের শিকার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম মিয়া ও তার সহযোগীদের নির্মম আক্রমন ও আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, রংপুর উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ আগস্ট ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় র্যাব-১৩, রংপুর ও র্যাব-২ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ শামিম মিয়া (২৮), পিতা-মৃত আব্দুল জব্বার, সাং-রুদ্দেশ্বর, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাটকে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম আজিজার রহমান (৭০)’কে নির্মমভাবে আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ধৃত আসামীকে লালমনিহাট জেলার কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।