বালুবাহী ট্রাক চাপায় নারী নিহত -দিনাজপুর সদরের বালুবাড়ী এলাকায় ট্রাক
চাপায় জায়েদা বেগম (৫২) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১ জুন)
বিকেলের দিকে ওই এলাকার সিটি কলেজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত জায়েদা
একই জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর পাল্টাপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দা গ্রামের
সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।জানা গেছে, অসুস্থ বোনকে দেখতে ছেলের মোটরসাইকেলে
করে বীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
আসছিলেন জায়েদা। পথে জেলা সদর শহরের বালুবাড়ী এলাকায় এলে রাস্তায় গতি
নিরোধক (স্পিড ব্রেকার) দেখতে পেয়ে গাড়ি থামাতে চেষ্টা করে তার ছেলে।
একপর্যায়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান জায়েদা। এ সময় বিপরীত
দিক থেকে আসা দশমাইলগামী একটি ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
জেলার কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বালুবাহী ট্রাক চাপায় নারী নিহত
বিদ্যালয়ের নাম সানবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার
খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাত্র দুজন। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক
মাহফুজুর রহমান কখনো অফিসের কাজের কথা বলে, আবার কখনো কিছু না
বলেই দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে যান না। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কাজিপুর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।বুধবার (০১ জুন) দুপুরে ইউএনও সরেজমিন
সানবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তিনি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে দেখতে
পান একটি শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষিকা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের
পাঠদান করাচ্ছেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষক
হাজিরা খাতায় দেখা যায় প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান নিজেই নৈমিত্তিক ছুটি
শব্দটি স্বাক্ষরের জায়গায় লিখেছেন। ইউএনও তাৎক্ষণিক কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তাকে ফোন করে জানতে পারেন ওই শিক্ষক তাঁর নিকট থেকে কোনো ছুটি নেননি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক (প্রধান শিক্ষক)
তাঁর ইচ্ছেমতো আসেন। ক্লাস চালান একজন ম্যাডাম ও ওই বিদ্যালয়ের পিয়ন। এ কারণে ওই
বিদ্যালয়ের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখায় একেবারে পিছিয়ে। ইউএনও নিজে শিক্ষার্থীদের
পাঠ্য বই থেকে পড়া জিজ্ঞেস করলে অনেকেই উত্তর দিতে পারেনি।এ সময় ইউএনওর সঙ্গে ওই
বিদ্যালয়ে উপস্থিত খাসরাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন,
‘মাঝে মাঝে ওই শিক্ষকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। ‘ এদিকে প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন,
‘আমার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে পারিনি। ফোন করেও শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাইনি। উপজেলা
শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, করোনাকালে পড়ালেখা বন্ধ ছিল। বর্তমানে বদলি বন্ধ।
এ কারণে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট। তবে প্রেষণে একজন শিক্ষক দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অফিসের লোকবল একেবারেই কম।
তার পরও একের পর এক আমরা শিক্ষকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।ইউএনও
জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘করোনার পরে কাজিপুরের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক
জটিলতা দেখা দিয়েছে। গুটি কয়েক দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ এখনো ক্লাসে ফিরছে না। এ সমস্যা
সমাধানে শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
বালুবাহী ট্রাক চাপায় নারী নিহত