লবণের দাম বৃদ্ধি ও মোকামে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলির চামড়া ব্যবসায়ীরা। লোকসানের আশঙ্কায় ছাগলের চামড়া ফেলে দিচ্ছেন অনেকে।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় হিলির চামড়াপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির গরু ও ছাগলের চামড়া বাজারজাত করার লক্ষ্যে চামড়ায় লবণ লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। লবণ লাগানো গরু ও ছাগলের চামড়াগুলো একের পর এক সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। ছাগলের চামড়ায় আধা কেজি ও গরুর চামড়ায় ১০ কেজি করে লবণ লাগাচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গরুর চামড়া ২৫০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা দরে, ছাগলের চামড়া ১০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তবে লবণের দাম বেশি হওয়ার কারণে লোকসান হবে ছাগলের চামড়ায়। যার কারণে অনেনে ছাগলের চামড়া ফেলে দিচ্ছেন। প্রতিটি ছাগলের চামড়ার ক্রয় করতে হচ্ছে ১০ টাকা। তাতে লবণ লাগে ১০ টাকা, শ্রমিক মজুরি ১০ টাকা। সব মিলে খরচ হয় ৪৫ টাকা। কিন্তু মোকামে তার দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা।
এদিকে, প্রতিটি গরুর চামড়া ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। একটি গরুর চামড়ায় লবণ লাগে ১০ কেজি। লবণ ২০০ টাকা, শ্রমিক ৫০ টাকা। তাতে চামড়া প্রতি প্রায় খরচ হয় ৭০০ টাকা। মোকামে এসব চামড়ার দাম ৭০০ টাকার বেশি পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। তাই চামড়ার দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, ছাগলের চামড়ার দাম নেই। গরুর চামড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে কিনেছি। লবণের দাম অনেক বেশি। বর্তমান সাড়ে ৯০০ টাকা বস্তা কিনছি, গতবার এই লবণ কিনেছিলাম সাড়ে ৪০০ টাকা বস্তা। এবার হয়তো তেমন লাভ হবে না।
চামড়া ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা আতঙ্কে আছি, এবার চামড়া নিয়ে কী হবে। লবণের দাম অনেক বেশি, মোকামে তেমন দাম নেই। ছাগলের চামড়ায় যে খরচ তাতে আসল উঠানো কষ্ট। তাই এসব চামড়া অনেকেই ফেলে দিচ্ছে। বাপ-দাদার ব্যবসা, ছাড়তেও পারি না। সরকারের কাছে আবেদন, আমরা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাই।