আমাদের উর্দু বলতে হতো : নৌপ্রতিমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন মানবিক মানুষ উল্লেখ করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিচ্ছেন। এটাকে বৃত্তি হিসেবে দেখলে হবে না। এটি আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ। তিনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন।আজ বুধবার সকালে সেতাবগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিদ্যালয়ে শুধু বড় বড় বিল্ডিং বানালে হবে না। যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে যাচ্ছে তাদের স্কুলে আনতে হবে। তাদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সেই শিক্ষা আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে।তিনি বলেন,’ বাংলাদেশ কেন একসময় পিছিয়ে পড়েছিল, কেন মঙ্গা হচ্ছিল? এ বিষয়ে কেউ চিন্তা করেনি। এসব চিন্তা কেবল আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। এ দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমাদের উর্দুতে কথা বলতে হতো।বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতাবগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান বিশ্বনাথ রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আফছার আলী প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যাগিং করে একই চাল যেটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পড়ছে, সেটা প্যাকেটজাত করে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। একই সঙ্গে আগাম টাকা মিলারদের দিয়ে আসছে, এমনকি প্যাকেটও দিয়ে আসছে নওগাঁ, দিনাজপুর, বগুড়া ইত্যাদি স্থানে। আমরা সেগুলোও বন্ধ করেছি।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধভাবে মজুত ঠেকাতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান চালাচ্ছে বিশেষ টিম ও প্রশাসন। আজ বুধবার কারওয়ান বাজার, মিরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।সাধন চন্দ্র বলেন, ‘মোটা চাল ও ধানের দাম কিন্তু খুব একটা বাড়েনি। যেটা আটাশ, ঊনত্রিশ, শম্পাকাটারি, জিরাকাটারি যেটাকে নাজিরশাইল বা মিনিকেট বলে বিক্রি করে এটার দাম বেড়েছে। একটি বিষয় কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই যে বিপুল পরিমাণ চাল যখন এরা (কোম্পানিগুলো) তুলে নিচ্ছে, প্যাকেট করতে লাগে তিন টাকা, বিক্রি করছে ১০ টাকা ১৫ টাকা বেশি দামে। এর জন্য তারা বেশি দামে কিনে আনতেও সমস্যা নেই। এ কারণে যারা এদের কাছে চাল বিক্রি করছে তারা বাজারে ধানটাও প্রতিযোগিতা করে কিনছে। এরপরও কৃষক বলে তাদের লস হচ্ছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না বলে সার্কুলার জারি করা যায় কিনা পরিকল্পনা চলছে। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে। কালও আমাদের মিটিং হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব নেই। তিনি ৮ জুন কাজে যোগ দেবেন। আমরা এটার সামারি রেডি করছি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য। কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব ও শিল্প সচিব- এই চারজন মিলে একটি মিটিং করবে ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে, উপায় বের করার জন্য।সার্কুলার জারির চিন্তা-ভাবনা এখনও ফাইনাল হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেবো না। আমাদের মেসেজটা, যেখানে তারা প্যাকেট করে সেখানে দেওয়া হয়েছে। এরা ছাড়া তো কেউ প্যাকেট করে না। খুচরা কিনে তারা প্যাকেট করতে পারবে না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রডাকশন বিক্রি করতে পারবে।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব মিল থাকলেও সে তার লাইসেন্সে যে পরিমান মজুদের বিধান আছে এর বাইরে মজুদ করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা, তার তিনগুণ মজুদ করতে পারবে। এর বাইরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুদ।আমাদের উর্দু বলতে হতো : নৌপ্রতিমন্ত্রী