নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ
পাঁচ বছর পর আজ রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
জনসভায় যোগ দিতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।রাজশাহী এবং আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে ঢুকছেন।
নানা স্লোগানে তারা মুখর করে তুলছেন চারপাশ। সকাল ৯টার মধ্যে মাদ্রাসা মাঠের অর্ধেক মানুষে মানুষে পূর্ণ হয়ে গেছে।
সকাল ৮টায় মাদ্রাসা মাঠ নেতাকর্মীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।নেতাকর্মীরা নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি পরে এসেছেন।
স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনসভায়স্থলে মানুষের ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বিসিএস নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমাপনী খোঁজখবর পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এই জনসভা থেকে দলীয় প্রধান দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
আগামী নির্বাচনের জন্য চাইবেন নৌকা প্রতীকে ভোট।রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতাকর্মীরা মাঠে আস্তে শুরু করেছেন।
বিভাগের আট জেলা থেকে এ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন।
সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমরা জনসভা শুরু করবো। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বিএনপি বাঁকা পথে ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
কিন্তু বিএনপির সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। তাই আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে জেলার পিরোজপুরের শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের গিলাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সমান সূযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু যখনই বিএনপি বা অন্যরা ক্ষমতায় যায় তখনই দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতন বেড়ে যায়।