শহর ও গ্রামে থাই জুয়া ছড়িয়ে পড়েছে-নীলফামারীর সৈয়দপুরের শহর ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে থাই জুয়া খেরা।
মূলত মোবাইলের মাধ্যমে খেলা হয় এই মরণ জুয়া।এতে করে সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনায় মারামারির ঘটনাও ঘটছে।
কেউ কেউ লাভবান হওয়ার কথা শোনা গেলেও অনেকে হয়ে যাচ্ছেন ফতুর। এই জুয়াটি প্রথমত উপজেলার
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কোনো এক স্থান থেকে শুরু হয়ে উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় থাই জুয়া খেলা জমে উঠেছে। শহরের কাজীপাড়ায় ব্যাপকহারে এই জুয়া খেলা চলছে।
বিশেষ মাগরিবের পর এই খেলা জমে ওঠে এলাকায়। এ জন্য অনেকে ইন্টারনেটের ওয়াইফাই কানেকশন নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে (৩১ মে) এই জুয়া খেলা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে
আটক করে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম হুসাইনের কার্যালয়ে হাজির করেন।
বাড়িতে ছোট শিশু আছে বলে তার কাছে পায়ে পড়ে ক্ষমা চান। পরে তিনি আসামিদের অর্থদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার অনেক স্থানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এই জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
কেউ কেউ জুয়ার টাকায় পাকা বাড়িঘর তৈরি করায় অনেকে জুয়ার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিনছেন দামি মোবাইল।
বাড়িতে বসে, কেউবা আড়ালে-আবডালে ও দলবদ্ধভাবে খেলছেন থাই জুয়া। এই জুয়া খেলা শিখে নিয়েছেন বিত্তবান
থেকে শুরু করে রিকশা, ভ্যানচালক, ব্যবসায়ী সবাই। এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
শামীম হুসাইন বলেন, এই জুয়া খেলা যেখানে দেখা যাবে সেখান থেকে জড়িতদের
ধরে আনার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার মা
নুষকেও সচেতন হতে হবে।শহর ও গ্রামে থাই জুয়া ছড়িয়ে পড়েছে
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নবনিযুক্ত ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে গাজীপুরের সফিপুর আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন সালাম গ্রহণ করেন।
তিনি শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সবসময়ই
কর্মদক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী মুহূর্তে এ বাহিনীর কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়। বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন, রেলরক্ষা, মহাসড়কে
নাশকতা রোধ এবং মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ রুখতে এ
বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব পালনে জননিরাপত্তা বিধানে অবদান রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম,
অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ
হাসান, একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম,
উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এ কে এম জিয়াউল আলম
ও বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।