সুন্দরগঞ্জে চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত ভাঙন অব্যাহত
বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তার পানি। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত পানি বাড়ছে তিস্তায়। এতে তলিয়ে গেছে সুন্দরগঞ্জের চর ও নিচু এলাকা। একই সঙ্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে তিস্তায়।
গত সাত দিনে দেড় শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। এ সময় অন্তত ৩০০ হেক্টর জমিও তিস্তায় বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৫০টি পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরো জানান, ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই সব এলাকায় নৌকাই এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে পানিবন্দি ও নদীভাঙনের শিকার পরিবারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যে বানভাসীদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া মজুদ রয়েছে ১০ মেট্রিক টন চাল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি বাড়ছে। তবে সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় বানভাসীদের সহায়তায় সকল রকম প্রস্তুতি রয়েছে।