দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে নারীকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে অপহরণপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। এসময় অপহৃত ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাহিনীটি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে অপহরণ, হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে আসামি বিপুল চন্দ্র বর্মন (৩২) ভিকটিমকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে অশালীন আচরণ করতো। বিষয়টি ভিকটিমের পিতা জানতে পেরে বিপুলকে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নিষেধ অমান্য করে গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে ভিকটিম বালিয়াডাঙ্গী থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিপুল ও তার সহযোগীরা চেতনানাশক প্রয়োগে অজ্ঞান করে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা শ্রী নারায়ণ চন্দ্র রায় (৫৩) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২৫) এর ৭/৩০/৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–১৪/১৮৫, তারিখ–৩০/১০/২০২৫)।
ঘটনার পর র্যাব-১৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, সিপিসি-০১, দিনাজপুর ক্যাম্পের একটি চৌকস দল ৫ নভেম্বর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার খামার হোসেনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামি বিপুল চন্দ্র বর্মনকে (৩২), পিতা–টংকনাথ বর্মন, সাং–রমজান পাড়া (গিরাগাঁও), থানা–আটোয়ারী, জেলা–পঞ্চগড়, গ্রেফতার করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামি ও উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ জানায়, দেশের প্রতিটি অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণসহ সকল অপরাধ প্রতিরোধে র্যাব দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Reporter Name 
























