পঞ্চগড়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গণসমাবেশের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ ও বিএনপি সর্থকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।এ ঘটনায় বিএনপির একজন কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির নেতাদের। তবে পুলিশের দাবি শহরে গণসমাবেশের নামে ভাঙচুর করায় তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় কোনো কর্মীর মৃত্যু হয়নি।নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন জেলার বোদা উপজেলার বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।এর আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় পঞ্চগড় শহরে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।জানা যায়, বিকেল ৩টার সময় শহরের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে অতর্কিত হামলা ও রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে।
নিহতের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ভাই দুপুরে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে শহরে আসেন। আমাদের কিছু বলেননি। কিভাবে কি হয়েছে তা জানি না। এ বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা আমাদের ভাইয়ের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাবো।
এদিকে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল আমিন কুদ্দুস বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গণমিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলগুলো দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন কর্মী টিয়ারশেলের আঘাতে মারা যান। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, তারা মিছিলের নামে এলাকায় নাশকতার চেষ্টা করে। আমরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে নামি। মারা যাওয়া ব্যক্তি আগে থেকে হার্টের সমস্যায় অসুস্থ ছিল। তাকে তার পরিবার হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমরা সংঘর্ষের বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।