রংপুরে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন

মাহফুজ আলম প্রিন্স,রংপুর

৩ মে ২০২৫, দুপুর ২:১৭ সময়
Share Tweet Pin it
[রংপুরে  তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন]

ভারত কখনই বাংলাদেশের ভালো চায় না। বাংলাদেশের সঙ্গে হিংসা করে। তার নমুনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা। সিকিম থেকে এদিকে এসেছে ৩৩ টি বাঁধ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। 
 
শনিবার  ৩ মে দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার কখনো তিস্তা নিয়ে ভাবেনি। তারা সব সময় গদি রক্ষার জন্য ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগ সব সময় নিজেরটা বুঝেছে। তারা কখনো জনগণের কথা বা দেশের কথা চিন্তা করেনি। তিস্তা অঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ভুল তথ্য দিয়ে তারা ধোঁকা দিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সব সময় ভারতকেই সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু একফোঁটা পানি ও তিস্তা আনতে পারেনি। আমরা নদী রক্ষা কমিটি তিস্তা বাচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিস্তা ন্যায্য হিস্যা আদায় করব ইনশাল্লাহ। 
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিক্রনা বাস্তবায়নে দেশীয় একটি মহল এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাধা গ্রস্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কারণে আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিস্তা বাস্তবায়নের তেমন কর্মতৎপরতা দেখছি না। কারণ চীন এবং ভারতকে ছাড়াই সরকার ইচ্ছে করলে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। এর আগে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল আট হাজার কোটি। এখন না হয় সেটি বাড়িয়ে ১২হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এটা আমার দেশের পক্ষ থেকে করা সম্ভব। 
 
তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই অঞ্চলের মানুষকে কথা দিয়েছেন যদি আমরা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব। সেই সাথে কৃষকের কথা চিন্তা করে আমরা যে কোন মূল্যে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবোই। 
 
তিনি আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৪ মে রবিবার একটি পদযাত্রা রংপুর শাপলা থেকে শুরু হয়ে জিলা স্কুল পর্যন্ত যাবে। এতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
 
এসময় সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু, জেলা আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, সদস্য ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা উপস্থিত।