আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। চারিদিক থেকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুটপাট, নারী ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ইত্যাদির খবর আসছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট চলা অবস্থাতেও সৃষ্ট অরাজকতা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বরং দৃষ্টিভঙ্গীগত সীমাবদ্ধতার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে এবং নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। অসহনীয় এই অবস্থা ও অরাজকতা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে পরিশুদ্ধ করে জনকল্যাণমুখী-আদর্শভিত্তিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনার যে অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেই সুযোগ আমরা হাতছাড়া করতে চাই না। আর এ কারণেই আজ আমরা সুজন-এর পক্ষ থেকে অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন রচনা করেছি।আজকের এই মানববন্ধন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের বক্তব্য ও উদাত্ত আহ্বান:অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে। নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো। সারাদেশে সৃষ্ট অরাজকতা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করো,অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করো। অপরাধীদের রক্ষা নয়, শাস্তি চাই। দল মত নির্বিশেষে অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনো: অবিলম্বে মব-কালচার বন্ধ করো: নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার-হয়রানি বন্ধ করো,ফ্যাসিবাদ দমনে ফ্যাসিবাদী আচরণ পরিহার করো;বিশৃঙ্খলা উস্কে দিলে, শৃঙ্খলা ফেরানো যায় নাঃসংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই।বহুমত ও পথের অনুসারীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই:সকল ধরনের রাজনৈতিক সহিংসত্য বন্ধ করো;গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করো।দ্রুত সংস্কার করো, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ো:দ্রুত সংস্কার করো, শোষণমুক্ত দেশ গড়ো।সংস্কারের মধ্য দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চাই।সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করো।সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিত অঙ্গীকার চাই।রাজনৈতিক দল স্বাক্ষরিত জাতীয় সনদ (সমঝোতা স্মারক) চাই।জাতীয় সনদই হতে পারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মূল দলিল,রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ করধর্মীয় উপাসনালয়ে রাজনৈতিক প্রচারণা নিষিদ্ধ করো। দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করো। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও। সদপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের সংবিধান চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ কাম্য নয়। জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণমুক্ত করো।