কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হাসিনা বেওয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধার ঝলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধার ঝলন্ত মরদেহ করেছে। এই দুঘর্টনাটি ঘটে ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামে। নিহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের মৃত কোরবান আলীর স্ত্রী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, ওই পরিবারে কোন ধরণের অশান্তি নেই। লাগেনি বউ শ্বাশুড়ির ঝগড়া বিবাদও। ছেলে ও ছেলের বউ মিলে একটি সুখের দিন কাটতেন তিনি। তবে নিহত বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুক্তছেন বলে জানান পরিবার ও প্রতিবেশিরা।
বৃহস্পতিবার সকালে সবার অজান্তে ছেলের প্রাইভেট পড়া একটি টিনসেট ঘরে ধরনার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার নিহতের ছেলে যখন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার জন্য ওই ঘরে ঢুকেন ঠিক তখনই দেখতে পান মায়ের নিথর দেহ ধরনায় ঝুলছে। পরে আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধার ঝলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। মায়ের মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘটনাস্থলে থাকা ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, পরিবার, এলাকাবাসীও জনপ্রতিনিধিনিসহ ওই এলাকায় তদন্ত করে জানা গেছে নিহত বৃদ্ধা সত্যিকারেই একজন মানসিক রোগী ছিলেন। সে নিজেই তার ছেলের প্রাইভেট পড়া ঘরের ধরনার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এব্যাপারে নিহতের ছেলে থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন।