বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৭:২৫ সময়
Share Tweet Pin it
[বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা]

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে সভা-সমাবেশ করবে বিএনপি। যা চলবে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, '১০ দিনের মধ্যে ৬৪টি জেলায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করবে বিএনপি।

জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এসব সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির তারিখ ও সিনিয়র নেতাদের তালিকা মিডিয়াকে জানানো হবে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলার দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ বলেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তাকে আইনের আওতায় না আনতে পারা সরকারের ব্যর্থতা। বিএনপি এই সরকারকে সফল দেখতে চায়।

তবে এ সরকার সফল হতে চায় কি না সেটা তাদেরই ভাবতে হবে।তিনি বলেন, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ এখনও ফ্যাসিস্টের পক্ষের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপনীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরও প্রশাসন নির্বিকার। তার সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যারা জড়িত তারা আইনের আওতার মধ্যে পড়ে। ইতিমধ্যে হাসিনার নির্দেশে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণহত্যাকারী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে যতোটা কঠোর হওয়া দরকার ছিল, উল্টো বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।