কাহারোলে নারী দিন মুজুর বৈষম্যের শিকার

১৫ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ৬:২৮ সময়
Share Tweet Pin it

কাহারোলে নারী দিন মুজুর বৈষম্যের শিকার

কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : তোমরা কহেন তো বাহে, হামরাগুলা পুরুষের সাথে সমান তালে কাজ করি। কিন্তু মুজুরি পাই ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা আর পুরুষ মানুষগুলো পায় ৫০০ টাকা। হামরা কি ওমারগুলের থাকি কম কাম করি? ওরাও আইসে বিহানে, হামরাগুলোও আসি বিহানে। তাহলে ওরা এত বেশি পায় কেন? গতকাল বুধবার কাজ করার সময় আবেগে কথা গুলো বলছিলেন, দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার তাঁরগাঁও ইউনিয়নের হাটিয়ারী গ্রামের মালতী রানী রায়, শোভা রানী রায়সহ অন্যান্য নারী দিনমজুরা। উপজেলায় কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করা অধিকাংশ নারীরই মজুরি নিয়ে মেনকা রানী  মতো এমন আবেগ রয়েছে অন্য দিন মজুরদেরও। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কাজ করার ক্ষেত্রে নারী দিনমজুর  চাহিদা বেশি থাকলেও তারা ন্যায্য মুজুরি পাচ্ছেন না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। বর্তমানে উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে বিভিন্ন মাঠে শত শত নারী দিনমজুর দৈনিক মুজুরীর ভিত্তিতে কাজ করছেন। পুরুষ দিনমজুর যেখানে সারা দিন অন্যের বাড়িতে কাজ করে মুজুরী পায় ৫শত টাকা থেকে ৬শত টাকা আর নারী দিনমজুর দিনে অন্যের কাজ করে পায় ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মতো। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে একাধিক নারী দিন মজুরের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুরুষ দিন মুজুরের তুলনায় নারী দিন মুজুররা বেশি কাজ করেও তারা মুজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সেটা মেনে নিয়ে জীবিকার তাগিদে কাজ করে খেতে হচ্ছে তাদের। ঘরের কাজ সেরে বাহিরে শ্রম দেওয়ায় শরিক হচ্ছেন তারা রসুলপুর ইউনিয়নের সাধুর বাজার এলাকার কৃষি শ্রমিক শিবানী রায় ও মুক্তা রানী রায় বলেন, পুরুষেরা মালিকের বাড়িতে একবেলা খেয়েও ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মতো মুজুরী পায়। অন্যদিকে দিনমুজুর নারীরা সমান কাজ করেও নিজের বাড়িতে খেয়ে-দেয়ে মুজুরী পায় অর্ধেক। এই আয় দিয়ে সন্তানদের নিয়ে সংসার চালা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এখন বাজারে জিনিস পত্রের যে দাম তাতে খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ আফসানা মোস্তারী বলেন, আমরা নারীদের অধিকারের কথা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তুলে ধরে আসছি। আমরা সর্বস্তারে মানুষ যদি এক হয়ে কাজ করি তাহলে নারীদের বৈষম্য দূর করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।