জুলাই থেকে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ৩৫ হাজার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ৮:২৪ সময়
আন্দোলনের মুখে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে ট্রেইনি চিকিৎসকরা বলছেন তাদের জানুয়ারি থেকে এই ভাতা দিতে হবে।
রবিবার দুপুরে শুরু হওয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
মাসিক বেতন ভাতা ৫০ হাজার করার দাবিতে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পরে এ নিয়ে দুপরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী, জাতীয় নাগরিক কমিটির ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তবে আন্দোলনরত অন্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা দাবি জানিয়েছেন তাদের জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দিতে হবে। এই দাবিতে সন্ধ্যা সাতটার দিকেও তাদের শাহবাগে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি তাদের বেতন ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বরও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পর পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু সরকারি সে ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
এর আগে ভাতা বাড়াতে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি না মানলে দেশের প্রায় ১৩ হাজার পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।