বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ৬:৪৪ সময়
Share Tweet Pin it

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণহত্যা মামলার টপ কমান্ডার বা প্রধান অভিযুক্তদের বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। শনিবার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধান ফোকাস হচ্ছে, গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যার যে অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে সেই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড এবং যারা সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে এই অপরাধগুলো সংগঠিত করেছেন, আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে তাদের বিচার করা। সেই ক্ষেত্রে আমরা হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে আমরা পারবো না, সেই লক্ষ্যে আমরা অগ্রসরও হচ্ছি না। তিনি বলেন, আমাদের একটা ট্রাইবুনাল আছে, একটা তদন্ত সংস্থা আছে যেখানে মাত্র ১৭ জন ইনভেস্টিগেশন অফিসার আছেন। আমরা আমাদের প্রসিকিউটর এজেন্সি তে ১০ জন প্রসিকিউটর আছেন। আরও হয়তো ২/৪ যুক্ত হবেন এতে। জুলাই-আগস্টে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সর্বত্র এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ট্রাইবুনালের চীফ প্রসিকিউটর বলেন, এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। যেখানে গোটা বাহিনীর অধিকাংশ অফিসারকে সংযুক্ত করা হয়েছিল। দেশব্যাপী সকল কিছুর বিচার করতে চাই এই ট্রাইবুনালের পক্ষে সেই বিচার করা সম্ভব নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়। আমরা সে কারণেই এই গণহত্যার যিনি প্রধান নিউক্লিয়াস ছিলেন শেখ হাসিনাসহ তার যে নিচের দিকের কয়েকজন ছিলেন তাদের বিচারকে প্রায়োরাটাইজ করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা তাদের বিচারটা করতে চাই এবং করতে সক্ষম বলে আমরা মনে করি। সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় যত অপরাধ হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেলে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে, আদালতে যে বিচার চলছে সেটা চলমান থাকবে। সেই বিচারগুলো করতে কত সময় লাগবে সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন বলেও যোগ করেন তিনি। দুই দিন আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাকে যা বলেছেন তাতে সাহসটা বেড়ে গেছে। তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক প্রায়োরিটি আছে সরকারের কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হচ্ছে যারা দেশটাকে গুম এবং খুনের স্বর্গ রাজ্য করেছিলো, যারা ছাত্র জনতাত রক্তে বাংলাদেশের মাটি রঞ্জিত করেছে তাদের বিচার টা আমাদের এক নাম্বার প্রায়োরিটি। কাজেই এই জায়গায় ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সবার বিচার করতে পারবো না কিন্তু টপ স্কোরারদের বিচার ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে নিখুঁত এবং নিরপেক্ষভাবে ট্রান্সপারেন্ট ভাবে আপনাদের বুঝিয়ে দিবো যে কতটা স্বচ্ছভাবে বিচার করা যায় এবং যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের অপরাধটা কি। সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, মায়ের ডাকের আহ্বায়ক সানজিদা ইসলাম তুলি, শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহিদ আহসান প্রমুখ।