স্বৈরাচারী খুনির বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ: সারজিস আলম

১০ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ৬:২৮ সময়
Share Tweet Pin it

স্বৈরাচারী খুনির বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ: সারজিস আলম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করা বীরের জেলা ভোলা বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজীস আলম। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই বাংলার মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য সরকারকে ২৪ র অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ।শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) সকালে দ্বীপ জেলা ভোলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় যোগ দিয়ে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।সারজিস আলম বলেন, ঢাকা শহর থেকে ভোলার এই দূরত্ব কোনো প্রায়োরিটি হতে পারে না। প্রায়োরিটি নির্ধারণ করে কার কতটুকু ত্যাগ আছে। সেই ত্যাগের দিক থেকে প্রথম সারির একটি হচ্ছে বীরের জেলা ভোলা। তিনি আরো বলেন, আমার এই ভোলার সহযোদ্ধারা বলেছে ৪ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে ছাতা কারিগর জসিমসহ আরো অসংখ্য ভাইকে যারা রক্তাক্ত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওই সময়ের তৎকালীন এসপি ও তার সাথে যে সকল অফিসার এবং কনস্টেবল আমার ভাইদের উপর নির্বিচারে গুলি করেছে, তাদের শাস্তি যেনো শুধু বদলিই না হয়।এসময় তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খুনি হাসিনাসহ যাদের নির্দেশে এতো মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত জড়ানো হয়েছে, তাদের বিচারের শাস্তির স্পষ্ট কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি, তারা একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের ৭ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘোষণা পত্রে সবার আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।এর আগে, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে ভোলা বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণা পত্র ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।এর আগে তিনি ভোলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিন এর পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সহানুভূতি জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহ সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, সমন্বয়ক এম এ সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফয়সাল, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ ভোলার সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী-জনতা।