রংপুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভোক্তার অভিযান-রংপুরে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতর। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় দুইটি চালের মিলে অভিযান করে তারা। এসময় দুইটি প্রতিষ্ঠান কে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা।অপরদিকে নগরীর প্রান কেন্দ্রে জজরেট মার্কেটে নকল ও নিম্ন মানের বই বিক্রির দায়ে এক প্রতিষ্ঠান কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তার সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন।এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তার উপ রিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
সারাদেশে ধান-চাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ তিনি এ ঘোষণা দেন।গত বুধবার থেকে সারাদেশে অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে খাদ্যমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। প্রথম দিনে আট বিভাগে কয়েকশ প্রতিষ্ঠানে যায় অভিযানকারী দল; জরিমানা করা হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা।সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, তবে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। মজুদদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, এ অভিযান আরও জোরালো হবে।নিজস্ব মিল ও অনুমোদন না থাকলে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ধান-চালের ব্যবসায় যুক্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী।“বড় বড় কর্পোরেট হাউস ধান-চাল সংগ্রহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যেন এ ব্যবসায় যুক্ত না হতে পারে, সেটা নিশ্চিতে ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে।সারা দেশে ধান ও চালের অবৈধ মজুদ খুঁজে বের করতে ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের কথা মঙ্গলবার জানিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।সেদিন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, ১৯৫৬ সালের অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টে বলা আছে কোন পর্যায়ে কতটুকু মজুদ রাখা যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে এবং ২০২১ সালে দুটি আদেশ জারি করা হয়। সেই আলোকেই অভিযান চলবে।২০১১ সালে জারি করা বিধিতে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্য সামগ্রী তার অধিকারে রাখতে পারবে না।অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাইকারি ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ তিনশ টন ধান অথবা চাল ত্রিশ দিন পর্যন্ত মজুদ রাখতে পারবেন। খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ টন ধান অথবা চাল ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন।চালকল মালিকরা পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার ৫ গুণ ধান সর্বোচ্চ ৩০ দিন মজুদ রাখতে পারবেন। পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ১৫ দিন মজুদ রাখা যাবে। হাস্কিং মিল মালিকরা সর্বোচ্চ ১০০ টন ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন।রংপুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভোক্তার অভিযান