1. [email protected] : Live Rangpur :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

হাতীবান্ধায় দেহের পর এবার মাথা ও ছুড়ি-মোবাইল উদ্ধার

  • Update Time : শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬৫ Time View
হাতীবান্ধায় দেহের পর এবার মাথা ও ছুড়ি-মোবাইল উদ্ধার
হাতীবান্ধায় দেহের পর এবার মাথা ও ছুড়ি-মোবাইল উদ্ধার

হাতীবান্ধায় ভ্যান চালক হত্যাকান্ড…..
নেপথ্যে চুরি : দেহের পর এবার মাথা ও ছুড়ি-মোবাইল উদ্ধার…

(লালমনিরহাট) প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নিখোঁজের পর হত্যাকান্ডের শিকার ভ্যান চালক মানিকুল ইসলামের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর এবার মাথা, মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহার ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশী একজনের ভ্যান চুরির অভিযোগ উঠায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মানিকুল ইসলাম।
শনিবার সকালে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দালালপাড়া থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার দুপুরে একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রমনীগঞ্চ থেকে তার মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মানিকুল ইসলাম ওই উপজেলার সিংগিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের পুত্র বলে জানা গেছে। এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হয়। শুক্রবার বিকালে ভুট্টা ক্ষেতে এক মহিলা তার মরদেহ দেখে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে খবর দেন। পরে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে আজ শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুড়ি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করেন।
কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা নিশ্চিত না হলেও ধারনা করা হচ্ছে ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মানিকুল হত্যাকান্ডের শিকার হতেও পারেন। ধারনা করা হচ্ছে ওই চুরির ঘটনায় মানিকুলের সাথে আরো যারা জড়িত ছিলেন তাদের সাথে হয়তো বা কোনো বিরোধ দেখা দিলে তাকে হত্যা করা হয়। ইতোমধ্যে চুরি হওয়া ভ্যানও উদ্ধার করেছে সিংগিমারী ইউনিয়ন পরিষদ।
মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তার স্বামী তাকে জানান, রাত ৮ টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮ টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
মানিকুলের মা শামছুন নাহার জানান, যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসির দাবী জানাই।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মানিকুলের মা শুক্রবার রাতে বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাউকে আসামী করা না হলেও পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © Rangpur24.com 0176414680 [email protected]